শ্যাওলা
-মৈত্রেয়ী ঘোষ
বসবার ঘরের মেঝেটা
বহুদিন কেউ পরিষ্কার করে নি,
কেমন যেন একটা
অযত্ন আর তাচ্ছিল্যের ছাপ সর্বত্র।
একগাদা শ্যাওলা মেঝের সমস্ত সৌন্দর্যকে
চাপা দিয়ে রেখেছে।
আসলে মেঝেটাই হয়ে গেছে কমজোরি,
তাই বেপরোয়া শ্যাওলা পুরু হতে থাকে,
আর বাড়তে থাকে আয়তনে।
তারপর একদিন মেঝে পেরিয়ে উঠোন,
উঠোন পেরিয়ে রাস্তা, আর রাস্তা পেরিয়ে
সমগ্র দেশে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে
কুরুচিপূর্ণ, গা ঘিন ঘিন করা
দাম্ভিকতার শ্যাওলা।
আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছি
যাবতীয় অপরিচ্ছন্নতাকে নির্মূল করার,
কিন্তু না, কিছুতেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছে না।
কৈশোরের সারল্য, যৌবনের উদ্দীপনা,
মধ্য বয়সের সহনশীলতা, অথবা
বার্ধক্যের নৈতিকতা– সব কিছুর উপরেই
পড়েছে দশ ইন্চি পুরু অসংযমী শেওলা।
সবাই নিজের খামখেয়ালিপনা
নিয়েই ব্যস্ত সারাক্ষণ,
এদিকে জাঁকজমক আর চটজলদি
হাসিল করার প্রবল ঝড়ে
প্রতি মুহূর্তে দিক হারাচ্ছি আমরা।
মুখগুলো ঢাকা পরে গেছে মুখোসের আড়ালে।
কখনো প্রলোভন, কখনো ধমকানি
এইসব শক্তিশালী প্রতিপক্ষের আস্তরণে
খুইয়ে ফেলেছি নিজস্বয়ানা।
এবার সময় এসেছে,
বিনাশ করতে হবে সমস্ত সামাজিক অবক্ষয়,
বালতি বালতি মূল্যবোধ ঢালতে হবে
অনাচার আর অত্যাচারের মুখে,
তবেই স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠবো
আমি আর আমার সমাজ,
সমস্ত শেওলাকে অপসারিত করে
আনকোরা নতুন চেহারায় সেই চিরন্তন সৌন্দর্য
আবার ফিরে পাবো আমরা।
কবিতাটি এখানে মনোনীত হওয়ায়, আমি খুব খুশি হয়েছি। শুভেচ্ছা রইলো “আলাপী মন” এর জন্য।
কবিতাটি এখানে মনোনীত হওয়ায়,আমি খুব খুশি হয়েছি।শুভেচ্ছা রইলো ” আলাপী মন ” এর জন্য।
ধন্যবাদ, আলাপী মনের যুক্ত থাকার জন্য